সোনার চর বন্যপ্রানী অভয়ারণ্য পটুয়াখালী জেলার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এ বনের বৃক্ষরাজির মধ্যে রয়েছে কেওড়া, ছৈলা, বাইন, পশুর, সুন্দরী, কাঁকড়া, গেওয়া, আকাশমনি, কড়ই, খইয়া বাবলা, জাম, রেইনট্রি, ঝাউ, নোনাঝাউ, খলসী, আসাম লতা, পাইন্যা লতা, নল খাগড়া, গোলপাতা, হেঁতাল, করমচা, বলা সহ অসংখ্য প্রজাতি এবং প্রধান বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে- মায়াহরিণ, চিত্রাহরিণ, শুকর, সজারু, শিয়াল, বনবিড়াল, উদবিড়াল, বাদুর, কুকুর, বেজি, চামচিকা, গুইসাপ, গোখরা সাপ, অজগর সাপ, কচ্ছপ, বাবুই, পেঁচা, বউকথাকও, চিল, শালিক, শ্যামা, টুনটুনি, মাছরাঙ্গা, সাদা বক, ডাহুক, দোয়েল, বুলবুলি ইত্যাদি প্রজাতি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছপালা ও পশু-পাখির বিচরণ প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায়। এ বনাঞ্চলে শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে প্রধান আকর্ষণ হলো অসংখ্য ছোট বড় খাল। এসব খালসমুহে সারা বছরই দেশী-বিদেশী পাখি বিচরণ করে। ৫ কিঃ মিঃ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এলাকাটি পটুয়াখালী জেলা সদর হতে ৮০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্বদিকে । কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা হতে পূর্বদিকে। এর উত্তরে বুড়াগৌরঙ্গ নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে বুড়াগৌরাঙ্গ নদী ও বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত। এর আয়তন ২০২৬.৪৮ হেক্টর ।
ঢাকা হতে সড়ক পথে কিংবা লঞ্চযোগে পটুয়াখালী গিয়ে সেখান থেকে নৌপথে সোনার চর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকায় ভ্রমনের সুযোগ রয়েছে।