REDD+(Reducing Emissions from Deforestation and Forest Degradation) এর সূচনা ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে। বালি Action Plan ২০০৭ এর paragraph ib (iii) অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি বন উজাড় ও বনের অবক্ষয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, মজুদ কার্বন সংরক্ষণ, টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বনের কার্বন আধার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি নীতিগত আহবান এবং উৎসাহব্যঞ্জক আর্থিক সহায়তামূলক কার্যক্রমই হলো REDD+। বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন রোধকল্পে বনের ভূমিকার গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১০ সালে REDD+ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য UN-REDD এ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। অতঃপর ২০১০-২০১১ সালে বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটি এবং জাতীয় কারিগরী কমিটি গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে REDD+ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে UN-REDD এর সহায়তায় REDD+ Readiness Preparation Proposal (R-PP) প্রণীত হয় এবং UN-REDD পলিসি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়। উক্ত Proposal এ REDD+ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য Stakeholder দের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় ব্যবস্থাদির বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে UN-REDD সামাজিক এবং পরিবেশগত নিরাপত্তা কাঠামো (Social & Environmental Safeguard Framework), REDD+ নীতিমালা প্রনয়ণ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বনের কার্বন বিষয়ে তথ্য উপাত্ত নিরূপনকল্পে Measurement, Reporting and Verification (MRV)প্রক্রিয়া চালুর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির পর REDD+ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বনাঞ্চলে বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, কার্বন আধার সৃষ্টি ও বনের আশেপাশে বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য নিরসনে REDD+ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।