মানুষ ও ধরিত্রির বন্ধন
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন ভবন আগারগাঁওয়ের হৈমন্তি মিলনায়তনে 3মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষ্যে গত ৬ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রফেসর ড মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষ), জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ডটিম এর প্রধান নির্বাহী ড মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও জনাব মুকিত মজুমদার বাবু, চেয়ারম্যান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জনাব ইমরান আহমেদ, বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন অধিদপ্তর এবং বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন জনাব জাহিদুল কবির, উপপ্রধান বন সংরক্ষক, বন ব্যবস্থাপনা উইং, বন অধিদপ্তর ও ড. এম মনিরুল এইচ খান, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাগাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি মহোদয় বলেন, “জাতীর জনক দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নানা প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বন, বন্যপ্রাণী এবং জীব বৈচিত্র্যের কথা ভেবেছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধ্যাদেশ জারী করার মাধ্যমে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। এবং তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে আইন পাশ এবং পরবর্তীতে মহান সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন শুধু প্রকল্পের আশায় বসে থাকলে চলবে না বরং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পাঠাতে হবে যেন মন্ত্রণালয় সেগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে। এছাড়া সঠিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের ম্যাপিং করতে হবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য নির্ধারনপূর্বক জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন শুধু মাত্র দিবস পালন আর প্রত্যাশার পর্যায়ে থাকলেই চলবে না, মাঠ পর্যায়ে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সেজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সুন্দরবন থাকলে, বাংলাদেশ বাচবে। শুধু কথায় না, কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বর্তমান সরকার উপযুক্ত আইন প্রনয়ণসহ UNCBD, CITES স্বাক্ষর করেছেন। কাজেই পলিসির দিক থেকে আমরা সঠিক পথেই আছি। এর পাশাপাশি আমাদের জানা ও বোঝার দিক সমূহ আর স্পষ্ট করতে হবে। বন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংসে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রচারণা চালাতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে একটি ঘৃণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া অন্যান্য অতিথি বৃন্দ বন্যপ্রাণীর উপর গুরত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন,
অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর বলেন, আমরা সবাই আজ হতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব যেন আমাদের মাধ্যমে আর কোন বন্যপ্রাণীর অনিষ্ট সাধন না হয়। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধসমূহ চিহ্নিত করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবাই মিলে কাজ করে যেতে হবে।
এর আগে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।