পরিচিতিঃ
১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে একটি ভাড়া বাড়িতে সামাজিক বন বিদ্যালয়, রাজশাহীর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে ৩.৫৩ একর জমির উপর নিজস্ব কমপ্লেক্স স্থানান্তরিত হয়। কমপ্লেক্সটিতে একটি দোতলা প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তাদের বসার কক্ষ, প্রশিক্ষণ শ্রেণি কক্ষ, মিলনায়তন, টিস্যু কালচার ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, গ্রন্থাগার; ৪৮ জন প্রশিক্ষণার্থীর বাস উপযোগী একটি তিনতলা ডরমেটরী এবং অফিস স্টাফদের জন্য 4টি আবাসিক ভবন রয়েছে। এছাড়া অত্র ক্যাম্পাসে রাজশাহী বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিশ্রামাগার রয়েছে।
ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সুদৃশ্য ও সুপরিসর একটি খেলার মাঠ রয়েছে যেখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা প্রশিক্ষণার্থীদের খেলাধুলার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পত্র নং পবম/বন-শাখা-৩/বন-২৭/০৫/৩৫৫ তাং-০৬/০৫/০৯ইং মূলে সামাজিক বন বিদ্যালয়, রাজশাহীর নাম পরিবর্তন করে ‘‘ফরেস্ট্রি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, রাজশাহী” করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে।
ভিশন
আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে বন বিভাগে মাঠপর্যায়ে কর্মরত ফরেস্টার, জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউটস্, ফরেস্ট গার্ড, বাগান মালী, ওয়াচার, নার্সারী কর্মী এবং অফিস সহকারী প্রভৃতি পদে কর্মরতগণকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বন সেক্টরের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
মিশন
প্রশিক্ষিত জনবলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন সম্প্রসারণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ফরেস্ট রেস্টোরেশন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং বেসিক ফরেস্ট্রি বিষয়ে ধারণা প্রদান ও গবেষণা কাজে উৎসাহিত করা এবং সমগ্র দেশের ২৫% ভূমি বনায়নের আওতায় আনার বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি।
সাম্প্রতিক কর্মকান্ড
টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় ৫ টি ব্যাচে ১২৫ জন ফরেস্ট গার্ডদের ৭ দিনব্যাপী বেসিক ফরেস্ট্রি কোর্স চলমান। এছাড়া পরিচালন ব্যয় খাতের আওতায় ৪ টি ব্যাচে ২৪০ জন ফরেস্ট গার্ডদের ১৫ দিনব্যাপী আর্মস প্রশিক্ষণ চলমান।
ফরেস্টারদের ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি (ইন-সার্ভিস) কোর্স প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের তালিকা।
ক্র. নং |
শিক্ষা বর্ষ |
সংখ্যা |
১। |
১৯৮৫-৮৬ |
২৩ জন |
২। |
১৯৮৬-৮৭ |
২৪ জন |
৩। |
১৯৮৭-৮৮ |
২২ জন |
৪। |
১৯৮৮-৮৯ |
২৫ জন |
৫। |
১৯৮৯-৯০ |
২৫ জন |
৬। |
১৯৯০-৯১ |
২০ জন |
৭। |
১৯৯৪-৯৫ |
১৯ জন |
৮। |
১৯৯৫-৯৬ |
২৪ জন |
৯। |
২০০৪-০৫ |
২৭ জন |
১০। |
২০০৫-০৬ |
২০ জন |
১১। |
২০০৬-০৭ |
২৭ জন |
১২। |
২০০৭-০৮ |
২৫ জন |
১৩ |
২০০৮-০৯ |
২৯ জন |
১৪। |
২০০৯-১০ |
২২ জন |
১৫। |
২০১০-১১ |
৩০ জন |
১৬। |
২০১১-১২ |
২৯ জন |
১৭। |
২০১২-১৩ |
৩০ জন |
১৮। |
২০১৩-১৪ |
২৯ জন |
১৯। |
২০১৪-১৫ |
৩০ জন |
২০। |
২০১৫-১৬ |
৩০ জন |
২১। |
২০১৬-১৭ |
২০ জন |
মোট |
৫৩০ জন |
সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের যাবতীয় বিবরণ:
সম্ভাবনাঃ
‘‘ডিপ্লোমা-ইন-ফরেস্ট্রি” কোর্সটি সম্পূর্ণ আবাসিক। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও পদোন্নতির জন্য ডিপ্লোমা-ইন-ফরেস্ট্রি কোর্সটি অপরিহার্য। উত্তরবঙ্গে এ ধরণের ইনস্টিটিউট আর নেই। পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনায়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করার স্বার্থে উত্তরবঙ্গের এ প্রতিষ্ঠানকে যুগোপযোগী করে তোলা প্রয়োজন। মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হলে এখানে অধিক সংখ্যক ফরেস্টারকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে, যা বন সংরক্ষণ. সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।