Wellcome to National Portal
বন অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd জুন ২০২১

প্রধান বন সংরক্ষক

 

 

জনাব মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী ২৫ মার্চ ২০২০ সালে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পূর্বে তিনি আগস্ট ২০১৯ সাল থেকে উপ প্রধান বন সংরক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

জনাব চৌধুরী ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন), ২২ তম ব্যাচে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং তাঁর বিস্তৃত  কর্মজীবনে বিভিন্ন বন বিভাগ ও সার্কেলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগ থেকে সহকারী বন সংরক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তাঁর চাকরির সময়কালে তিনি বাংলাদেশ বন বিভাগের বিভিন্ন পদে দক্ষতার সাথে সেবা প্রদানের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ ইত্যাদি অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বন একাডেমি, চট্টগ্রাম, বন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, রাজশাহী এবং বন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কাপ্তাই এ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৭ থেকে আগস্ট ২০১৯ সাল পর্যন্ত খুলনা সার্কেল (সুন্দরবন) এর বন সংরক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ।

 

জনাব চৌধুরী ১৯৭৪ সালের ২৬ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক (অনার্স) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যা বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১২ সালে ভারতের ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর কোর্সও সম্পন্ন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি Short course on competing claims on natural resources এর জন্য একটি নেদারল্যান্ডস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম পেয়েছিলেন।

 

জনাব চৌধুরী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার, প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালায় বন ব্যবস্থাপনা, বন পুনরুদ্ধার, বন পর্যবেক্ষণ, ওয়াইল্ডলাইফ সংরক্ষণ বিশেষত বেঙ্গল টাইগার, ইকোট্যুরিজম, জলাভূমি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ইত্যাদি দেশ সমুহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছেন।