পাবলাখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারন্যটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা জুড়ে এর বিস্তৃত। এর আয়তন ৪২০৮৭.০ হেঃ। বনের প্রকৃতি ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন। অভয়ারন্যটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন।
অভয়ারন্যের ভিতরে ও চারিদিকে সংখ্যালঘু উপজাতীয়দের বাস, যারা মূলত মৎস জীবি ও জুম চাষী, নিসর্গ নেট ওয়ার্কেও কর্মসূচী শুরুর পর এদের মধ্যে ২০ জন ইকোট্যুরগাইড, ইকো কটেজ, দোকান ইত্যাদিও মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। এখানে ইকোট্যুরিজম উন্নয়নের রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। ২০০৭ সালের রেকর্ড অনুযায়ী যে বছর এই অভয়ারন্যতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ২৮৫০০।
অতীতে এ বনে ১৮৩ প্রজাতীর পাখি ৭৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর এবং আরও অনেক উভয়চর সরীসৃপের রেকর্ড থাকলেও এর হাল-নাগাদ তথ্য পাওয়া যায় না। সাম্বার হরিণ, মায়-হরিণ, শুকর, বনো-কুকুর, শিয়াল, বানর, খরগোশ, কাঠবিড়ালী, বেজী, বন বিড়াল ইত্যাদি এখানে পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতীয় সরিসৃপ ও পাখি।
এখানে বন বিভাগের একটি রেস্ট হাউজ রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রাতে অবস্থান করা যায় না। মাঝে মাঝে দেখা মিলবে বুনো হাতির পাল। রাঙ্গামাটি শহর থেকে কাপ্তাই লেক হয়ে লঞ্চে প্রায় ৪/৫ ঘন্টায় যাওয়া যায় পাবলাখালী। এখানে ভ্রমনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখতে হবে।