Wellcome to National Portal
বন অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd অক্টোবর ২০১৭

রেড + রেডিনেস রোডম্যাপ

 

 

বাংলাদেশের প্রথম ও দ্বিতীয় ন্যাশনাল কমিউনিকেশন (National Communication) প্রতিবেদন অনুয়ায়ী CO2 নিঃসরণের অধিকাংশই হয়ে থাকে জ¦ালানী খাত হতে এবং এর পরেই রয়েছে ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন ও বনভূমি (Land use, Land-use change in forestry-  LULUCF) খাত। বনভূমি খাতের ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন রোধের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও গাছ লাগানোর মাধ্যমে বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন অপসারণের সুযোগ রয়েছে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে UN-REDD এর অংশীদার দেশ হিসেবে আত্ম-প্রকাশ করে। UN-REDD কর্মসূচি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে REDD+ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে এবং ফলাফল ভিত্তিক অর্থ প্রাপ্তির জন্য UNFCCC  এর প্রয়োজনীয় শর্তপূরণে সক্ষম করে তোলে। 

 

 REDD+ Readiness প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো Roadmap প্রণয়ন। বাংলাদেশে REDD+ Rediness Roadmap প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু সংখ্যক পরামর্শমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো। এই পরামর্শমূলক কর্মসূচিগুলো জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। REDD+ Rediness Roadmap এর সর্বপ্রথম জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ঢাকায় ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর মাসে। এর উদ্দেশ্য ছিলো অংশীজনদের কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (Technical Working Group-TWG)  গঠন করা যা দেশের Roadmap প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবেঃ

 

TWG - Monitoring, MRV এবং  REL/RL পদ্ধতি প্রণয়ন;

TWG - জাতীয় REDD+ কৌশল প্রণয়ন;

TWG - সামাজিক এবং পরিবেশগত রক্ষাকবচ প্রণয়ন;

 

ঢাকায় ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারী REDD+ Rediness Roadmap  এর ২য় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ REDD+ Rediness Roadmap  এর ৩য় জাতীয় পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের প্রধান প্রধান অংশীজনদের মধ্যে জাতীয় Roadmap  খসড়া দলিলটি সম্বন্ধে জানানো, আলোচনা করা এবং চুড়ান্ত করা। একই সঙ্গে REDD+ কর্মসূচি যেসব বাস্তব বিষয়ের সম্মুখিন হতে পারে বা বিবেচনা করা প্রয়োজন সেগুলোকে ফোকাস করে আঞ্চলিক পরামর্শ সভা সমূহ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

 

চিত্র: বাংলাদেশ REDD+ Roadmap পরামর্শ এবং অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া

 

২০১২ সালের মে মাসে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালার ভিত্তিতে একটি খসড়া REDD+ Rediness Roadmap প্রণীত হয়েছিলো। খসড়াটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয় এবং জাতীয় REDD+ স্টিয়ারিং কমিটি ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে এটাকে অনুমোদন দেয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার Rediness Preperation Proposal (R-PP) প্রণয়ন করে। প্রণীত R-PP  এর মাধ্যমে বাংলাদেশে REDD+Rediness অর্জনের জন্য একটি পরিষ্কার পরিকল্পনা,বাজেট এবং সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে UN-REDD পলিসি বোর্ড R-PP অনুমোদন করে। 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় Roadmap কার্যক্রম এগিয়ে নিতে R-PP  হতে ২ টি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণীত হয়। সেগুলো হলোঃ
 
১. UN-REDD  বাংলাদেশ জাতীয় কর্মসূচি (লিঙ্ক)
২.  Strengthening National Forest Inventory and Satellite Land Monitoring System in support of REDD+ সংক্ষেপে NFI প্রকল্প (লিঙ্ক) 
 
এই প্রকল্প দুটি REDD+ Rediness  এর পর্যায় ক্রমিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রস্তুতিমূলক ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। উল্লেখ্য REDD+ বাস্তবায়নে তিনটি পর্যায় রয়েছে। পর্যায়গুলো হলোঃ  
 
পর্যায়-১ (প্রস্তুতিমূলক)ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে জাতীয় কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতিমালা ও পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সক্ষমতা তৈরীর কার্যক্রম। বর্তমানে বাংলাদেশ টঘ-জঊউউ এবং টঝঅওউ এর অর্থায়নে পরিচালিত ঘঋও প্রকল্পের সহায়তায় এ ধাপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে । 
 
পর্যায়-২(অগ্রণী)ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে গৃহীত কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা, নীতিমালা ও পদক্ষেপসমূহের প্রাথমিক বাস্তবায়ন। এ বাস্তবায়নকালে গৃহীত কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনার কোন পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন অথবা বিয়োজন করা হয় বাস্তবতার আলোকে।  
 
পর্যায়-৩ (জাতীয় পর্যায়ে ফলাফল ভিত্তিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের কার্যক্রম বাস্তবায়ন)ঃ এ পইর্যায়ে গৃহীত কর্ম পরিকল্পনায় কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে কিনা তার জন্য জাতীয় পরিবীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ এবং গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা নিরুপন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে এর উপর প্রতিবেদন তৈরী করে যাচাইয়ের UNFCCC তে পাঠানো হয়। নিরীক্ষায় উপযোগী প্রমাণ হলে অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হলে ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।