ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এর মোট আয়তন ৫০২২ হেঃ। এটি ঢাকা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয়। রাজধানী শহরের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় উদ্যানটিতে প্রচুর দর্শনাধীর চাপ লক্ষ করা যায়। বিশেষত শুস্ক মৌসুমে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী) প্রচুর লোক এখানে পিকনিক করতে আসে। সরকারী তথ্য মতে প্রতি বছর প্রায় ৩,৭৫,০০০ দর্শনার্থী এখানে আসেন। এ বনের উপর প্রায় ৫,০০০ এর ও বেশী লোক তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভরশীল। এটি একটি ক্রান্তিয়, আদ্র পর্ণমোচী বৃক্ষের বন। এখানকার মুল প্রজাতি হলো শাল। মুল কর্তিত গাছ থেকে পুনরায় গজানোর গুন থাকায় এগুলোকে গজারী বন ও বলা হয়। এখানকার বর্তমান শাল বন মূলত দ্বিতীয় পর্যায়ভূক্ত শালবন। যা কপিছ থেকে উৎপন্ন। এ বনে প্রায়ই ১০ প্রজাতরি স্তন্যপায়ী প্রাণী ৬ প্রজাতির উভচর, ৯ প্রজাতির সরিস্প এবং ৩৯ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে গন্ধগোকুল, গেকশিয়াল, বাঘদাস, খরগোস, সজারু, বেজী ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য। গুইসাপ, অজগর, কচ্ছপ ইত্যাদি প্রধান সরিসৃপ। এখানে প্রায় ২২০ প্রজাতির গাছ দেখা যায়।
এখানে বন বিভাগের বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট ও রেষ্ট হাউস রয়েছে। বন বিভাগের পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এসব রেষ্ট হাউস দিনের বেলায় ব্যবহার করা যায়। শুস্ক মৌসুমে পিকনিক করতে চাইলে বেশ আগে থেকেই বুকিং দিতে হয়। ঢাকা থেকে এ জাতীয় উদ্যানে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। উদ্যানটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাথেই অবস্থিত। ঢাকার মহাখালী হতে ময়মনসিংহ অভিমুখে যেকোন বাসে এ উদ্যানে যাওয়া যায়। এছাড়া ভাড়া করা গাড়ী নিয়ে সরাসরি যাওয়া যায়।