হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলা ও রামু উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। এর আয়তন ১৭২৯ হেঃ। এখানকার বনের প্রকৃতি হলো ক্রান্তিয় চিরহরিৎ বন। এটি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধিক্ষেত্রাধীন। এ উদ্যানের চারপাশে প্রায় ৮৪২৭টি পরিবার বসবাস করে। যারা এ বন থেকে সম্পদ আহরনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও রোহিংগা শরনার্থীদের অনুপ্রবেশের কারণে এখানে বনের ভূমি জবর দখল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দারিদ্রতা, শিক্ষার অভাব এবং সুপেয় পানির অভাব দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে। বন বিভাগ এ জাতীয় উদ্যানটি সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম করছে।
এ উদ্যানে ৫০টির ও বেশী গাছ দেখা যায় এবং বহু ঔষধি গুন সম্পন্ন লতাগুল্ম পাওয়া যায়। এখানে প্রায় ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায় যার মধ্যে বানর, হনুমান ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য। এছাড়াও ২৮৬ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-পাহাড়ী ময়না, টিয়া ইত্যাদি। প্রায় ৫৬টি প্রজাতির সরিসৃপ ও উভয় চর প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়।
কক্সবাজার শহর থেকে খুব সহজে যেকোন যানবাহনে সড়ক পথে হিমছড়ি যাওয়া যায়। এখানে বন বিভাগের রেষ্ট হাউস রয়েছে। যা পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করা যায়।