পরিচিতিঃ
ফরেস্ট একাডেমী, চট্টগ্রাম ১৯৬৩ সনের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীর পূর্ব নাছিরাবাদ শিল্প এলাকায় ১১.১২ একর পাহাড়ী ভূমিতে ফরেস্ট একাডেমী, অবস্থিত। পূর্বে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বন মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল।
ফরেস্ট একাডেমী, চট্টগ্রাম
উদ্দেশ্যঃ
বন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বন ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলে বনজ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়।
সাংগঠনিক কাঠামোঃ
ফরেস্ট একাডেমী, চট্টগ্রাম এর কার্যক্রম চালানোর জন্য সর্বমোট ৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আছে। এদের মধ্যে পরিচালক (বন সংরক্ষক) একজন ও উপ বন সংরক্ষক একজনসহ মোট কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ৪২ জন।
কর্মকান্ডঃ
(ক) উপ বন সংরক্ষক/বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণকে আধুনিক বন প্রশাসন সম্পর্কে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান।
(খ) বিসিএস(বন) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকগণের ফরেস্ট্রিতে মাস্টার ডিগ্রী প্রদান।
(গ) সহকারী বন সংরক্ষক ও ফরেস্ট রেঞ্জারগণকে ওরিয়েন্টেশন এবং রিফ্রেসার্স কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান।
(ঘ) বন, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কীয় সেমিনার/ওয়ার্কশপের আয়োজন করা।
বন একাডেমী, চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার
১৯৬৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩২৪ জন বন কর্মকর্তাকে ফরেস্ট্রিতে মাষ্টার্স, বিএসসি (পাশ) ইন ফরেস্ট্রি ও ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি ডিগ্রী এবং ২৭৩৭ জনকে স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অত্র একাডেমীতে বিভিন্ন সময়ে বন কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনার করা হয়।
ফরেস্ট একাডেমী, চট্টগ্রাম থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিবরণ নিম্নের ছকে প্রদান করা হলো ঃ
ক্রমিক নং | কোর্সের নাম |
প্রশিক্ষণার্থী |
১। | এম.এসসি ইন ফরেস্ট্রি |
২৮ জন |
২। | এম.এফ ইন ফরেস্ট্রি | ৩০ জন |
৩। | বি.এসসি (পাশ) ইন ফরেস্ট্রি |
১১৯ জন |
৪। | ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি |
৭৬ জন |
৫। | স্বল্পকালীন কোর্স |
২৭৩৬ জন |
(এপ্রিল ২০১৭ইং পর্যন্ত) মোট |
২৯৮৯ জন |
প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য অফিসার্স ডরমেটরী, একাডেমিক ভবন, অডিটরিয়াম, খেলার মাঠ, লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরী, মাল্টিমিডিয়া, ওভারহেড প্রজেক্টর, বৈদ্যুতিক জেনারেটর এবং নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা আছে।
একাডেমীর অফিসার্স ডরমিটরী
সম্ভাবনা ঃ
প্রায় ৫০ বছরের পুরনো এ ফরেস্ট একাডেমী, চট্টগ্রাম। পাকিস্তান আমলে ফরেস্ট রেঞ্জার কোর্স আরম্ভ করে বর্তমানে বিসিএস ক্যাডারের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ মেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ প্রশিক্ষণের ফলে বনজ সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বন বিদ্যালয়ের অধীনে এ একাডেমী হতে প্রশিক্ষণার্থীদের ফরেস্ট্রিতে মাস্টার্স, বিএসসি (পাশ) ও ডিপ্লোামা ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছে। বন প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা পর্যায়ের ব্যক্তিদেরকে ফরেস্ট একাডেমীতে ট্রেনিং প্রদান করে যুগোপযোগী জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে বন সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়। বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও রিফ্রেসার্স কোর্স চালু করে বর্তমানে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদির ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জ্ঞানকে আপ-টু-ডেট করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ একাডেমী এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।